নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: সোনারগাঁ উপজেলা জামপুর ইউনিয়নে প্রশাসনের জরিমানা ও নিষেধ করার পরও মুনলাইট প্লাষ্টিক নামের একটি কারখানার বিষাক্ত বর্জ্য মিশ্রিত পানিতে ৪ লাখ টাকার মাছ মরেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পুকুর মালিকের অভিযোগ প্রতিষ্ঠানটি জোড় পূর্বক তার পুকুরে বিষাক্ত পানি ফেলে তার মাছ নিধন করেছে। এর আগে প্রতিষ্ঠানটি কৃষকের ক্ষেতে বিষাক্ত বর্জ্য ফেলে কয়েক একর জমির ফসল নষ্ট করে ফেলেছিলো।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা জাঁমপুর ইউনিয়নের তালতলা এলাকায় মুনলাইট প্লাষ্টিক নামের একটি কারখানার বিষাক্ত বর্জ্য মিশ্রিত পানি ১ বছর যাবৎ সরাসরি কৃষকের জমিতে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। এসব বর্জ্য মিশ্রিতি বিষাক্ত পানি ফেলার কারনে মোঃ হোসেন আলী নামের এক ব্যক্তির পুকুরের প্রায় ৪ লাখ টাকার বিভিন্ন প্রজাতির মাছ মারা গেছে।
স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ,তালতলা এলাকার কয়েকজন প্রভাবশালী কারখানার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে অর্থের বিনিময়ে যোগসাজশে বিষাক্ত বর্জ্য মিশ্রিত পানি সরাসরি ফসলি জমিতে ফেলছেন ।
ভূক্তভোগী মোঃ হোসেন আলী বলেন, মুনলাইট প্লাষ্টিক কারখানার বিষাক্ত বর্জ্য মিশ্রিত পানি ফেলে আমার পুকুরের ৪ লাখ টাকার মাছ মেরে ফেলেছে। কারখানার কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তারা প্রতিবেদকের সাথে কথা বলেনি।
জাঁমপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শাহ মোঃ হানিফ জানান, বিষাক্ত বর্জ্যমিশ্রিত পানি ফসলি জমিতে ফেলার কারনে এই কারখানাটি উপজেলা প্রশাসন বন্ধ করে দিয়ে ছিলো । কারখানাটি নতুন করে আবারো চালু করে বিষাক্ত পানি পুকুরে ফেলে হোসেন আলী নামের এক ব্যক্তি ৪ লাখ টাকার মাছ মেরে ফেলেছে। এর আগেও স্থানীয় ভাবে এ সমস্যাটি দ্রুত সমাধান করার জন্য কর্তৃপক্ষকে সর্তক করা হয়েছে।
এ ব্যাপরের মুনলাইট প্লাষ্টিক ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেডের কর্তৃপক্ষের সাথে সরাসরি যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তারা সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে কর্তৃপক্ষের কেউ দেখা করেনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাইদুল ইসলাম জানান, বিষয়টি তদন্ত করে সত্যতা পেলে কারখানার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।